কয়েক দিন ধরে মুম্বাইয়ের বোরিভলি স্টেশনে অনেক ফোন চুরির অভিযোগ দায়ের হচ্ছিল। বেশির ভাগ অভিযোগেই দেখা গেছে, ঘটনাগুলো ঘটছে বোরিভলি ও সান্তাক্রুজ স্টেশনের মধ্যবর্তী স্থানে। পরে বিষয়টি তদন্ত করে দেখার জন্য ডিসিপি (ওয়েস্টার্ন রেলওয়ে) পুরুষোত্তম কারাত একটি তদন্ত দল গঠন করেন। প্রাথমিক তদন্তে বেরিয়ে আসে অদ্ভুত প্রেমের গল্প।
ঘটনা হলো, দুই কলেজছাত্রীর প্রেমিক একজনই। দুজনেই চান প্রেমিক তাঁকেই বেশি পছন্দ করুক। তাই বিশেষ মানুষটিকে খুশি করতে এই দুই ছাত্রী দ্রুত অর্থ জোগাতে লোকাল ট্রেনের নারী কামরায় যাত্রীদের কাছ থেকে নিয়মিত মোবাইল চুরি করতে শুরু করেন। দুই মাস ধরে এসব চুরির ঘটনা ঘটছিল।
রেলওয়ে ক্রাইম ব্রাঞ্চের তদন্ত দল টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইনকে জানায়, ৩০ মে কয়েকজন নারী পুলিশ সদস্য সাদাপোশাকে কান্দিভলিতে একটি ট্রেনে চেপে বসেন। ঘড়ির কাঁটায় তখন বেলা একটা। এ সময় এক কলেজছাত্রী হাতেনাতে ধরা পড়েন। তিনি এক ট্রেনযাত্রীর ব্যাগ থেকে মোবাইল চুরির চেষ্টা করছিলেন। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে আসল ঘটনা।
ধরা পড়া এই ছাত্রীর নাম টুইংকেল সনি। তাঁর ভাষ্য, তিনি স্থাপত্যের ছাত্রী এবং অন্যজন তিনাল পারমার ডিগ্রি কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। দুজন সন্ধ্যায় ঋষি সিংহ নামের এক যুবকের সঙ্গে দেখা করতেন। ঋষি তাঁদের মোবাইলগুলো বিক্রিতে সাহায্য করতেন। পুলিশ সনির সহায়তায় পারমার ও মোবাইল ক্রয়কারী রাহুল রাজপুরোহিতকে ধরতে সক্ষম হয়। রাহুল এই দুই ছাত্রীর কাছ থেকে তিন লাখ রুপি দিয়ে মোবাইলগুলো কিনে নেন।
তদন্তকারী ব্যক্তিরা জানান, কলেজে যাওয়ার পথে ওই দুই ছাত্রীর চুরি করা অভ্যাসে পরিণত হয়ে গিয়েছিল। সনির ব্যাগ থেকে নয়টি ফোন পাওয়া যায়। আর গ্রেপ্তার করা ওই যুবকের কাছ থেকে ৩৮টি ফোন ও ৩০টি মেমোরি কার্ড উদ্ধার করা হয়। ৮ জুন পর্যন্ত এই যুবক পুলিশের হেফাজতে থাকবেন। তবে প্রেমিক ঋষি এখন হাওয়া। তাঁকে খুঁজছে পুলিশ।